ভূমিকা ও প্রাসঙ্গিকতা :
ভূমিকা ও প্রাসঙ্গিকতা (Rationale) : জুলাই গণঅভ্যুত্থান বিশ্ববাসীর নিকট অধিকার আদায়ের জন্য একটি ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। শুরুটা শিক্ষার্থীদের কোটা আন্দোলনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও সরকারের ফ্যাসিবাদী আচরণের কারণে তা জনরোষে পরিণত হয়। সাড়ে ষোলো বছরের বঞ্চনা আর নিগৃহীত হওয়ার প্রেক্ষাপটে দেশব্যাপী সৃষ্ট জনরোষে কেঁপে ওঠে অবৈধ ও ফ্যাসিস্ট সরকারের মসনদ। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী কর্তৃক ব্যবহৃত সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী গান ও স্লোগানসমূহ আন্দোলনের গতিতে নিয়ে আসে বৈচিত্র্যতা। এজন্য জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ব্যবহৃত গান ও স্লোগানসমূহ আমাদের জাতীয় জীবনে আলাদা গুরুত্ব বহন করে।
আইডিয়ার বিবরণী: সরকারি চাকুরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে অহিংস আন্দোলন শুরু হয় ১লা জুলাই ২০২৪। স্বৈরাচার সরকারের একরোখা নীতির কারণে ১৫ জুলাই অহিংস আন্দোলন সহিংস আন্দোলনে রূপ নেয়। পরে তা গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয়। স্বৈর শাসক শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান।
আন্দোলনের শুরুতেই স্বৈর শাসক শেখ হাসিনা আন্দোলনকারীদের "রাজাকার " হিসাবে গালি দেন। এ প্রেক্ষিতে আন্দোলনকারীরা স্লোগান দিতে থাকে," তুমি কে আমি কে, রাজাকার, রাজাকার।
কে বলেছে, কে বলেছে! স্বৈরাচার, স্বৈরাচার।" এ স্লোগান ছড়িয়ে পড়ে দেশের আনাচে কানাচে। আন্দোলনও ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে।
শায়ানের প্রতিবাদী গান নাড়িয়ে দিয়েছে লক্ষ কোটি বাঙ্গালীর হৃদয়কে। বিদ্রোহের আগুন ছড়িয়ে পড়ে দেশের প্রতিটি মুক্তিকামী মানুষের মাঝে।
এভাবে প্রতিটি গান আর স্লোগানের মাধ্যমে মুক্তিকামী ছাত্র-জনতা স্বৈরাচার সরকারের ভিত কাঁপিয়ে দেয়। অবশেষে ৩৬ জুলাই (৫ আগস্ট) স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটে।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আন্দোলনকারী ছাত্র -জনতা যেসকল গান ও স্লোগান ব্যবহার করেছিল তা সংগ্রহপূর্বক একত্রিত করে পুস্তিকা আকারে প্রকাশ করাই এ আইডিয়ার প্রধান প্রতিপাদ্য।